বিশেষ প্রতিবেদন , সকালের কন্ঠঃ

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিষেধ থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও সুবিধাবাদীরা যোগ দিচ্ছে আওয়ামী লীগে। বিশেষ করে সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের একাধিক নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগে। যদিও দলে যোগদানের ক্ষেত্রে দলীয় সভানেত্রীর অনমনীয় মনোভাবকে পাত্তা দেয়নি তৃণমূল আওয়ামী লীগ। এসব বিষয় নিয়ে চরম অস্বস্তিতে ভুগছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

সুবিধাবাদীদের নজরদারির আওতায় আনতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। দলে আগতরা সবচেয়ে বেশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে। ইতিমধ্যে একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এমন একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড নবাগতদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে শুদ্ধি অভিযানের চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানা গেছে। তবে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানের মাধ্যমে বিতর্কিত কাউকে দলে ঢুকতে দেওয়া চলবে না এমন বার্তাও যাচ্ছে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কাছে। দলের নীতিনির্ধারক ফোরামের নেতারা জানিয়েছেন, আগামী এপ্রিলে উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলন শুরু হবে। এর মাধ্যমে দলে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হবে। অনুপ্রবেশকারীরা দলের পদ-পদবিতে থাকলে তাদের বাদ দেওয়ার পাাশাপাশি যারা তাদের পুনর্বাসন করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের অন্তর্কোন্দলের যেসব ঘটনা ঘটছে তার অধিকাংশই অনুপ্রবেশকারীরা ঘটাচ্ছেন বলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছে তথ্য রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগে হাজার হাজার অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছে। কেন্দ্রের প্রভাবশালী নেতা, মন্ত্রী-এমপিদের হাত ধরে জামায়াতে ইসলামীর আমির থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারক পর্যায়ের ২ থেকে ৩ হাজার নেতা আওয়ামী লীগে ভিড়েছেন। একইভাবে বিএনপির নেতারাও আওয়ামী লীগ নেতাদের হাত থেকে ফুলের মালা নিয়ে নৌকায় উঠেছেন। এদের অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে নাশকতা, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে হত্যা, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিসহ মাদক মামলা। মূলত মামলা থেকে বাঁচতেই তাদের আওয়ামী লীগে যোগদান। তবে তাদের এ যোগদানকে প্রথমে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও হঠাৎ বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামায়াতের যোগ দেওয়াকে গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন দলটির হাইকমান্ড। সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের ইমেজ ক্ষুণ্ন করছেন অনুপ্রবেশকারীরাই। কিছু আসে স্বার্থ হাসিলের মতলবে, আবার কেউ কেউ নিজের দোষ ঢাকতে এবং শাস্তি থেকে বাঁচতে।

সম্প্রতি রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত থেকেও ভয়ঙ্কর নব্য আওয়ামী লীগ। এরা সুযোগসন্ধানী। এদের চিনে রাখতে হবে। যাদের কখনো সভা-সমাবেশে দেখিনি তারাও এখন আওয়ামী লীগ করে। এদের থেকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।

আরও পড়ুন

একটি জাল ভোট…
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ…
নৌকা মার্কার সংসদ…
২০২৩ হোক দেশের…
সেনানিবাসে বাংলাদেশ সশস্ত্র…
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর…
বায়রা নির্বাচন ২০২০/২০২৪
পদ্মা সেতুতে যান…
প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন…

যুক্তরাষ্ট্রের উপহার হিসেবে ফাইজারের…

করোনা থেকে সুস্থ এক…

করোনা সংক্রমণে বিশ্বে ১৫তম…

বিশ্বে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের…

চীনে করোনার প্রথম ভ্যাকসিনের…