আব্দুর রহিম,জেলা প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি:
সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ির ২৪ আর্টিলারী ব্রিগেড ও গুইমারা রিজিয়নের ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। কেক কাটা, প্রীতিভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’সহ দুইদিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সোমবার দুপুরে রিজিয়ন সদর দপ্তরের শহীদ লে. মুশফিক হলে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস.এম মতিউর রহমান আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন । এর আগে আমন্ত্রিত অতিথিগণ অনুষ্ঠানস্থলে পৌছলে তাদেরকে স্বাগত জানান, গুইমারা রিজিয়নের জিটু আই মেজর মো. মঈনুল আলম, বিএম মেজর ফজলে রাব্বি।
এরপরপরই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে উপস্থিত হয়ে মেজর জেনারেল এস.এম মতিউর রহমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকলে এবং সন্ত্রাসী চক্রের বিষয়ে সবাই সজাগ থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন অপশক্তি অশান্তি সৃষ্টি করতে পারবে না। অশান্তি সৃষ্টিকারীদের রুখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছে এবং সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।
গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম সাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির সহধর্মিনী মিসেস তৌহিদা রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ডিজিএফআই খাগড়াছড়ির অধিনায়ক কর্ণেল নাজিম উদ্দিন, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আবদুল হাই, সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব, মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল নওরোজ নিকোশিয়ার, লক্ষীছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল জান্নাতুল ফেরদৌস, পলাশপুর বিজিবি জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাইফুল্লাহ মো. মিরাজ, যামিনীপাড়া বিজিবি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মো. মাহমুদুল হক, রামগড় বিজিবি জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল তারিকুল হাকিম, গুইমারা বিজিবি হাসপাতালের অধিনায়ক মেজর মামুন, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ জামানসহ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারবর্গ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি,
এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যায় রিজিয়ন স্পোর্ট কমপ্লেক্সে বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালায় ছিল নান্দনিকতা ও সম্প্রীতির মেল বন্ধন। আতশবাজী প্রজ্জলন ও ফানুস উত্তোলনসহ অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্বর্নালী সন্ধ্যা। এতে স্থানীয় পাহাড়ী-বাঙ্গালী শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর সংগীত ও নৃত্য পরিবেশ করে সকলকে মাতিয়ে তোলে।