আলিফ মাহমুদ কায়সার,কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

প্রয়োজনীয় ল্যাব-উপাদান ছাড়াই কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া এলাকায় তৈরি হচ্ছে মানহীন সফট ড্রিংকস পাউডার। দেশে সুপরিচিত ব্রান্ড ‘ট্যাং’ এর আদলে প্যাকেটজাত করে পরে সেই ট্যাং বাজারজাত করতে বিএসটিআইয়ের নকল স্টিকার ব্যবহার করে ইচ্ছেমতো মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বসিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে এ খাদ্যপণ্যটি।

বিজ্ঞাপন

ঘনচিনির সাথে কাপড়ের রঙ সাথে ডালডা সাদৃশ্য রাসায়নিক (স্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক) উপাদান মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে সফট্ ড্রিংকসের এ পাউডার।এমনি একটি ভেজাল ট্যাং কারখানার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে সেই কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার(১৪ মে) দুপুরে চান্দিনা উপজেলায় ওই কারখানায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম, র‌্যাব ১১ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার প্রণব কুমার এবং জেলা স্যানিটেশন কর্মকর্তা অমলেন্দু ভান্ডারীর নেতৃত্বে যৌথ ভাবে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

উপজেলার মাধাইয়া সোনাপুর এলাকার একটি একতলা বিল্ডিংয়ে ভেজাল এ শরবত পাউডার কারখানাটি সিলগালা করে দিয়ে নকল ট্যাং তৈরির মেশিনসহ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। অভিযানকালে কারখানা মালিক মো.আলম কে ভ্রাম্যমান আইনে ৫০,০০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে দেখা যায়,একতলা বিল্ডিংয়ের যে কক্ষগুলোতে কারখানাটি রয়েছে তার আশেপাশে সব ফ্যামিলি ও ব্যাচেলর বাসা। পাশ্ববর্তীরা জানিয়েছে মাত্র কয়েক মাস হয়েছে কক্ষগুলো ভাড়া নিয়ে এ সফট ড্রিংকস পাউডার তৈরির কারখানা শুরু করেছে। তবে এটি যে একটি কারখানা তাও জানতো না কারণ সাইনবোর্ড না থাকায় বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই ভেতরে কী হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম জানান, রমজানে ট্যাং পানীয় শরবতের চাহিদা অনেক বেড়ে যায় পাইকারী ও খুচড়া বাজারে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মুনাফালোভী কিছু অসাধু ব্যবসায়ি নকল ট্যাং পাওডার তৈরির কারখানা স্থাপন করে।অভিযানে নকল ট্যাং তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পাশাপাশি কারখানার শ্রমিকদের দেওয়া তথ্যমতে কারখানা থেকে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার তৈরি পাউডার, ভেজাল চা পাতা, টেস্টিং সল্ট,মানহীন সেমাই উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান,রোজা শুরুর কয়েক মাস আগে পৃৃৃৃথক স্থানে কারখানা ও গুদাম ভাড়া নিয়ে ‘মদিনা বেভারেজ এন্ড ফুডস’ নামে নকল ট্যাং পাউডার তৈরি করে বাজারজাত করে আলম। গুদামে ট্যাং পাউডার ছাড়াও মদিনা চা,সেমাই, টেস্টিং সল্ট বাজারজাত করে আসছে আলম।

র‍্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার প্রদীপ কুমার বলেন, অভিযানে কারখানা থেকে উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক উপাদানগুলো পরীক্ষা করতে পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। কারখানাটি সিলগালা করে কারখানা মালিক আলমকে ভ্রাম্যমান আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন

একটি জাল ভোট…
ফেনীর চার থানার…
২০২৩ হোক দেশের…
পদ্মা সেতুতে যান…
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন…
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে…
আজ দ্বিতীয় ধাপের…
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ…
অতি জরুরি’ ভিত্তিতে…

যুক্তরাষ্ট্রের উপহার হিসেবে ফাইজারের…

করোনা থেকে সুস্থ এক…

করোনা সংক্রমণে বিশ্বে ১৫তম…

বিশ্বে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের…

চীনে করোনার প্রথম ভ্যাকসিনের…