আলিফ মাহমুদ কায়সার, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার চান্দিনার নাটিংগীতে সামাজিক কোরবানিতে ৬৫০ ভাগ বাড়িতে মাংস পাঠানো হয়েছে। সোমবার পশু কোরবানির পর বিকেলে থেকে চলে এ মাংসের ভাগাভাগি। উক্ত গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই সামাজিক কোরবানির মাংস তৈরি ও বিতরণ।
স্থানীয় ধনী-গরিব সবাই এই মাংসের অংশীদার। কোরবানি দেওয়া পশুর মাংস সোমবার বিকেলে ছয়শত পঞ্চাশ ভাগ করে বিকেলে বিতরণ করা হয়। আয়োজকদের পক্ষে মান্নান মাস্টার জানান উক্ত এলাকায় যারা পশু কোরবানি দেন, তারা প্রতিটি পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ জমা দেন এই সামাজিক ভাগ-বণ্টনে। এই সমাজভুক্ত প্রত্যেকের বাড়ির জন্য একজন করে ভাগীদার ধরে মাংস ভাগ করা হয়।
এবার ৬৫০ ভাগ করা হয়েছে সামাজিক কোরবানির মাংস। স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করে আওতাভুক্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ডেকে এনে মাংস বিতরণ করা হয়। জানা যায়, বাংলাদেশে অনেক গ্রাম আছে, যেখানে কোরবানি হয় মসজিদ কমিটির মাধ্যমে। কোরবানির মাংস যাতে সমাজের সবার ঘরে পৌঁছায়, সে জন্য কোরবানির মাংস তিন ভাগের এক ভাগ মসজিদ চত্বরে জমা করতে বলা হয়। কেউ এই নিয়মের ব্যতিক্রম করলে তাকে সমাজের কমিটির কাছে জবাবদিহি করতে হয়।
জমাকৃত মাংস মসজিদের আওতাভুক্ত প্রতিটি পরিবারকে একক ধরে ভাগ করা হয়। ধনী-গরিব সবাই সমান হারে ভাগ পায়। এই নিয়মে কোরবানির মাংস বণ্টন করার ফলে কোরবানির দিন কেউ মাংস থেকে বাদ যায় না। তবে হালে একান্নবর্তী পরিবার গুলো ভাগ হয়ে ছোট পরিবার হয়ে যাওয়ায় সামাজিক কোরবানির এই মাংস ভাগের প্রথা দিন দিন কমে আসছে।
বিতরনকালে উক্ত গ্রামের বাসিন্দা ফরহাদ মাস্টার তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন- প্রতিবছর এই দিনে শ্রেণীবৈষম্য, ধনী গরীব ভেদাভেদ ভুলে আমরা মিলনমেলায় পরিনত হয়ে গোস্ত নিতে এসেছি এতে পুরো সমাজ খুশি আনন্দিত।
নাটিংগী গ্রামের বাসিন্দা ও উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বার জালাল জানান, এ বছর মুসলিম সম্প্রদায়ের ৬৫০ বাড়িতে কোরবানির মাংস পাঠানো হয়েছে।