ডেস্ক রিপোর্ট , সকালের কন্ঠঃ
দেনমোহর। মুসলিমদের বিয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত। আইন অনুসারে যা পাত্রপক্ষের সামর্থ অনুযায়ী নির্ধারণের কথা। কিন্তু, এ নিয়ে রীতিমত অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে চট্টগ্রামে।
যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্ধারিত হচ্ছে সামর্থের কথা চিন্তা না করেই। ফলে বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি, ভাঙছে সংসার। ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। দেনমোহর নিয়ে এই অস্বাভাবিকতাকে সামাজিক ব্যাধি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
মানুষের জীবনে এক অমোঘ সম্পর্কের নাম বিয়ে। মুসলিমদের বিয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত হচ্ছে-দেনমোহর। যাকে দেখা হয় স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হিসেবে।
ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, কুরআন-হাদীস অনুযায়ী দেনমোহর নির্ধারণে প্রাধান্য পেতে হবে পাত্রের আর্থিক সামর্থ। যা শুরুতেই আদায়যোগ্য হওয়ার কথা।
তবে বাস্তবতা এখন ভিন্ন। চট্টগ্রামের বেশিরভাগ বিয়েতে মানা হচ্ছেনা দেনমোহর নিয়ে প্রচলিত অনুশাসন। সামাজিক মর্যাদা দেখাতে গিয়ে, দেনমোহর নির্ধারণ কখনো কখনো চলে যায় বাড়াবাড়ি পর্যায়ে।
এমনকি তা ৫০ লাখ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত ধরা হচ্ছে। অথচ, বাস্তবতা হচ্ছে তার বেশিরভাগই অনাদায়ী রয়ে যায়। ফলে এ নিয়ে প্রায়শ ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা।
অভিযোগ, দেনমোহর অস্বাভাবিক হলেও নির্লিপ্ত থাকেন নিকাহ রেজিস্ট্রাররা। কারণ তাতে তাদের ফি বেড়ে যায়। যদিও তা স্বীকার করেননি সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রামের দুটি পারিবারিক আদালতে যে প্রায় ৫ হাজার মামলা বিচারাধীন, তারমধ্যে ২ হাজারই দেনমোহর সংক্রান্ত। এরবাইরে জেলার ৭টি চৌকি আদালতেও বছরে মামলা দায়ের হয় প্রায় ১৪শ। যার সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে।