ডেস্ক রিপোর্ট , সকালের কন্ঠ:

নব নিযুক্ত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দায়িত্ব পাবার পরই শেয়ারবাজারের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, যারা এদেশের টাকা বিদেশে নিয়ে গেছে, পুঁজিবাজারে তাদের টাকা ফেরত আনতে সুযোগ দেয়া হবে। যাতে তারা ম্যাক্সিমাম লাভ করতে পারেন।
আজ সোমবার দায়িত্ব গ্রহণের পর অর্থমন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই আশ্বাস দেন তিনি।
নির্বাচনের পর পুঁজিবাজারে বিশ্বাসের প্রতিফলন ভালো দেখা গেলো বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার একদিন দুই দিনের জন্য না, লোভে পড়ে এখানে আসা যাবে না। দীর্ঘ সময়ের জন্য এগুলো বিবেচনা করতে হবে, প্রশিক্ষিত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আসতে হবে।
আরো উপস্থিত ছিলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন, আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, এনবিআরের চেয়ারম্যানসহ আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, ঋণ আদায় করার কৌশল বের করার তাগিদ দিয়ে আমরা ভালো ও খারাপকে একসঙ্গে মেলাব না। কাউকে জেলেও পাঠাব না। কারও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধও করে দেব না। কিন্তু ভালোভাবে ব্যবহার করে ঋণ আদায় করতে হবে। পাশাপাশি ঋণ দেয়ার আগেই যাচাই-বাচাই করে ঋণ দিতে হবে।
আমাদের দেশের মানুষ, সব কর্মকর্তা খারাপ না, এখানে সৎ মানুষের সংখ্যাই বেশি। যারা ব্যবসায়ী আছেন, সবাই খারাপ না। নন-পারফরমিং লোনের (খেলাপি ঋণ) যে কথা বলা হচ্ছে, এটা লম্বা সময় ধরে চলে আসছে, এটি ১৩ শতাংশ। এটি ৭ থেকে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। নিচে নামিয়ে আনতে অনেক কঠিন হতে হবে, আত্মীয়-স্বজন চিনব না। যে দেয় এবং যে দেয় না, তাদের এক জায়গায় রাখব না। যে দেয় তার জন্য প্রয়োজনে প্রণোদনার ব্যবস্থা করে দেব।
সরকারি ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব হবে জনগণকে কত সেবা দেয়া যায়, ব্যাংকের সবাইকে খারাপ বলব না। যে কাজটি করলে ভালো হবে তা আমাদের করতে হবে। প্রতিটি পরিবর্তনের মাঝ দিয়েই পরিবর্তন হয়।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি ভালো জায়গায় অবস্থান করছি। বাকি অবকাঠামো আপনারা তৈরি করবেন। নির্বাচনের পর বিশ্বাসের প্রতিফলন দেখা গেল পুঁজিবাজারে। আমাদের দুই রকমের অবকাঠামো ব্যাংক ভবন করতে হবে। যারা ঋণ নেন তারা শোধ করবেন না এমন মানসিকতায় নেন না। যেন যাচাই-বাছাই করে লোন দেয়া হয় এবং তা ভালো করে করতে হবে। মাঝে মাঝে দেখা যায়, চুক্তি করার পর চার্জ হিসেবে তা পাই না। এগুলো দেখার জন্য প্রফেশনার ফার্ম নিয়োগ করতে হবে। তাহলে ওই লোনগুলো ব্যাড লোনে যাবে না।
সকালের কন্ঠ / মোঃ আরিফ ছিদ্দিক

আরও পড়ুন

একটি জাল ভোট…
সোনাগাজিতে খেজুর রসের…
অভি’কে সিইও হিসেবে…
২০২৩ হোক দেশের…
“রেশন কার্ড পাবে…
পদ্মা সেতুতে যান…
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন…
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে…
জাতির উদ্দেশ্য ভাষন।

যুক্তরাষ্ট্রের উপহার হিসেবে ফাইজারের…

করোনা থেকে সুস্থ এক…

করোনা সংক্রমণে বিশ্বে ১৫তম…

বিশ্বে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের…

চীনে করোনার প্রথম ভ্যাকসিনের…