তাঁর লাইফ স্টাইল অতি সাধারণ ৷ সাধারণ তাঁর ডায়েট চার্টও ৷ মূলত চিঁড়ে-মুড়ি, শুকনো খাবার খেয়েই কাটান ওপার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু করোনা সংক্রমণের সময় নিজের ডায়েট চার্ট বদলালেন তিনি। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘আমি ভাত খাই না। মুড়ি ও চিড়েটাই বেশি খাই ৷ সকালে উঠে কিছুটা চিড়ে মুখে দিয়েই বেরিয়ে পড়ি ৷ তারপর অবশ্য চা-বিস্কুট খাই ৷ রাতে বাড়িতে ফিরে, ফ্রেশ হয়ে ডিনার করি ৷ আর ডিনারে থাকে মুড়ি আর চকোলেট ৷ চকোলেটটা আমি খুব ভালোবাসি খেতে ৷ মিষ্টি খাই ৷ মিষ্টিটা আমি একটু বেশিই খাই ৷ কিছু তো খেতে হবে আমাকে ৷তবে রবিবারে মেন্যুটা একটু আলাদা ৷ ডিমের বড়ার ঝোল ও মুড়ি আমার দারুণ ফেভারিট ৷ ’
বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানালেন, ২০ বছর পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডাক্তারদের পরামর্শে তিনি এখন ভাত খাচ্ছেন। তবে অনেকটা নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এক চামচ ভাত, একটু ডালসেদ্ধ, একটু আলুসেদ্ধ খাচ্ছি। মুড়ি খাচ্ছি।” রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সরকারি হিসাবে এখনো পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। বেসরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৭।
এই পরিস্থিতিতে ফের একবার রাজ্যবাসীকে বাড়ি থেকে না বেরনোর কাতর অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি হাতজোড় করে রাজ্যবাসীর হাত জোড় করে বললেন, ‘ক’টা দিন ঘরে থাকুন। আড্ডা মারার সময় অনেক পাবেন।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২ সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ। দয়া করে সরকারের নির্দেশ মেনে চলুন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা মারা বন্ধ করুন। আড্ডা দেওয়ার অনেক সময় পাবেন। সামাজিক দূরত্ব মানতেই হবে। নইলে আমরা স্টেজ থ্রিতে চলে যাব।’ এরপর মুখ্যমন্ত্রী সাবধান করে বলেন, ‘সেদ্ধ ভাত আর ডাল খান। এটা লাটসাহেবি দেখানোর সময় নয়।’