ডেস্ক রিপোর্ট, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ,সকালের কন্ঠ :
দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর রাউজান ও হাটহাজারী অংশে ভাঙন প্রতিরোধে নেয়া ২১২ কোটি ৭৯২ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
ইতিমধ্যে হালদার দুই পাড়ে ভাঙনরোধে বেশির ভাগ অংশে পাথর ব্লক বসানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে কাজ চলমান রয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, হালদা নদীর পাড় রক্ষায় রাউজান ও হাটহাজারী অংশে পাথর ব্লক বসানোর কাজ চলছে। কোন কোন এলাকায় ইতোমধ্যে পাথর ব্লব বসানো কাজ শেষ হয়েছে। যেসব জায়গা কাজ শেষ হয়েছে, সেসব এলাকার নদীর তীর ভাঙন রোধের পাশাপাশি দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। এলাকার মানুষ এখানে সকাল-বিকাল বসে গল্প করে সময় কাটাচ্ছে। কেউ কেউ গোসল করছেন হালদা তীরেই। বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা এই প্রকল্প কাজ দেখে বিভিন্নশ্রেণি পেশার মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে। বর্ষা আসার আগেই নদীর ভাঙন কবলিত মানুষ আতঙ্কমুক্ত হচ্ছে দেখে এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা আশায় বুক বেঁধে আছে। হালদার মদুনাঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার হালদার পাড় ঘুরে দেখার সময় এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভাঙন প্রতিরোধ কাজ দেখে হালদা পাড়ের বাসিন্দারা নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। তাঁরা বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্ববধানে হওয়ায় হালদার পাড় রক্ষা প্রকল্পের কাজ টেকসই হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। এই প্রকল্পের আওতায় ১২ দশমিক ১২০ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণে পাথর ব্লক দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও ৬ কিলোমিটার মাটির বাঁধ নির্মাণ, ১৫ কিলোমিটার মাটির বাঁধ পুনরাকৃতিকরণ, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার বিদ্যমান রাস্তা-কাম-বাঁধের উচ্চতা উন্নীতকরণ, ৫৫০ মিটার ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ এবং ১ দশমিক ৪০ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহন রয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রকল্পটি সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। হালদা পাড়ের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হাটহাজারীর সাংসদ, শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আন্তরিক ছিলেন। এই প্রকল্পটি চুড়ান্ত অনুমোদন করিয়ে নিতে বিশেষ ভূমিকায় থাকা সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সার্বক্ষনিক খবর রাখছেন। হালদা পাড়ের ইউনিয়ন পশ্চিম গুজরার ও উরকিরচর এর দুই চেয়ারম্যান লায়ন সাহাবুদ্দিন আরিফ ও সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল বলেছেন, বিগত প্রায় দুই দশকে তাদের শত শত একর জমি ও কয়েক’শ বাড়ী ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্ষা এলেই বাড়ী ভিটা হারানো ভয়ে অনেকই থাকতেন আতঙ্কগ্রস্ত। রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী ভাঙন কবলিত মানুষকে রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখে প্রকল্পটি অনুমোদন করিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, তিনি (এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী) আরো একটি প্রকল্প অনুমোদন করার চেষ্টা করছেন। এই প্রকল্প অনুমোদন হলে চলমান প্রকল্পের বাইরের যেসব ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে যাচ্ছে সেগুলোর কাজও হবে। মদুনাঘাট থেকে সর্তার ঘাট পর্যন্ত হালদা পাড়ে বেড়ি বাঁধ নির্মাণ হবে। এই বাঁধটি সড়ক পথ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।
একটি অনুমোদন করা হলে হালদা তীরের সকল মানুষ নিরাপদ হবে, প্রকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা থেকে মাছ চুরিও বন্ধ হবে। উল্লেখ্য, হালদার ২১২ কোটি ৭৯২ লাখ টাকার ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করা হয়েছিল গত ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করেছিলেন হাটহাজারীর সাংসদ সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, তৎকালীন রেলপথ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন চান্দগাঁও-বোয়ালখালী এলাকার সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদল, প্রকল্প কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ।

আরও পড়ুন

একটি জাল ভোট…
২০২৩ হোক দেশের…
পদ্মা সেতুতে যান…
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন…
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে…
আজ দ্বিতীয় ধাপের…
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ…
অতি জরুরি’ ভিত্তিতে…
প্রায় ১৮ মাস…

যুক্তরাষ্ট্রের উপহার হিসেবে ফাইজারের…

করোনা থেকে সুস্থ এক…

করোনা সংক্রমণে বিশ্বে ১৫তম…

বিশ্বে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের…

চীনে করোনার প্রথম ভ্যাকসিনের…