আলিফ মাহমুদ কায়সার,কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিদর্শন টিমের আকস্মিক অভিযানে মঙ্গলবার(১৫ জানুয়ারি) চান্দিনা মেডিকেল সেন্টারের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন অফিসার ডা মোঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া।
নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে কার্যক্রম পরিচালনা এবং মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে ব্যর্থতার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উপরোক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয় ।
এসব চিকিৎসা বাণিজ্যে চান্দিনায় স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেন, লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করা সম্পূর্ণ অবৈধ-বেআইনি।চান্দিনায় অনেকেই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে এধরণের প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে এসে কখনো রোগী মরছে, কখনো রোগী ক্ষতির মুখে পড়ছে।লাইসেন্সবিহীন,মানসম্মত চিকিৎসা সেবায় ব্যর্থ বহু প্রতিষ্ঠান ঝুঁকির মুখে নিয়ে যাচ্ছে জনস্বাস্থ্য।
এ ব্যাপারে কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন,নোংরা,অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ,নিম্নমানের চিকিৎসা সেবা ও ভুল চিকিৎসায় প্রতিনিয়ত রোগী ঝুঁকি বাড়ছে। রোগীর পাশাপাশি তাদের স্বজনদের মাঝেও আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। সম্প্রতি কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুরে লাইসেন্সবিহীন লাইফ হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের খাদিজা আক্তারের গর্ভে থাকা দুই সন্তানের একটিকে সিজারিয়ান অপারেশন করে আরেক সন্তান পেটে রেখেই সিজার সমাপ্ত করার ঘটনা সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। সাইনবোর্ড সর্বস্ব এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লাগাম টেনে না ধরলে চিকিৎসা সেবার মান অনেক নিচে নেমে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন।তিনি আরো বলেন,ইতিপূর্বে কুমিল্লা নগরীসহ কয়েকটি উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে এ ধরণের কিছু অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছি। লাইসেন্সবিহীন অবৈধগুলোর তালিকা করে সহসা অভিযান চালানো হবে।