রোববার দুপুরে সর্দি ও জ্বর নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি হয়েছেন জাংওই (৩৭) নামের এক চীনা নাগরিক। তাকে আইসোলেশন বিভাগের করোনা ইউনিটে নেয়া হয়েছে।
জানা যায় তিনি নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে একটি চাইনিজ কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ওই চীনা নাগরিক গত ৪ ফেব্রুয়ারি চীন থেকে ইপিজেডে আসেন। তার শরীরের নমুনা সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) জানানো হয়েছে। সেখান থেকে ল্যাবের টেকনিশিয়ান দল রংপুরে এসে তার শরীরের নমুনা নিয়ে যাবেন।
এর আগেও এই করোনা ইউনিটে চীন ফেরত তিন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিলেন। আইইডিসিআরে তাদের শরীরের ঘাম লালা রক্ত পরীক্ষা করে করো না ভাইরাস সংক্রান্ত কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়।
এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ে করোনাভাইরাসে একই পরিবারের পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ পাওয়া গেছে।
অ্যাম্বুলেন্সে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আনা হয়। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদের মধ্যে একজন ঢাকায় রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। গত ১৩ মার্চ তিনি ঢাকা থেকে মাদারীপুর পিকনিকে গিয়েছিলেন সেখানে অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসায় তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পিকনিক থেকে ফেরার পরই তার জ্বর শুরু হয়। জ্বর নিয়ে কয়েকদিন আগে ট্রেনে করে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে আসেন তিনি। বাড়িতে আসার পর তার জ্বর বাড়তে থাকে, সেইসঙ্গে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা। একই সমস্যা দেখা দেয় তার স্ত্রী ও কন্যা শিশুর।