আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
আজ পালিত হচ্ছে পবিত্র হজের মূল আনিষ্ঠানিকতা। মহান আল্লাহর কাছে নিজের উপস্থিতির জানান দিয়ে পাপমুক্তির আশায় লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান জড়ো হয়েছেন আরাফাতের ময়দানে। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ‘‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়ালমুল্ক,লা শারিকা লাক” ধ্বনি।
শুক্রবার মিনায় রাত্রি যাপনের পর আজ শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকেই আরাফাত ময়দানে জড়ো হয়েছেন মুসল্লিরা। মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে এখানে যেতে হয়।
দুপুরে নামিরা মসজিদ থেকে খুতবা পাঠ করেন সৌদি আরবের বিশিষ্ট আলেম শায়খ মুহাম্মদ বিন হাসান আলে আশ-শায়খ। খুতবার শুরুতে তিনি, আল্লাহতায়ালার প্রশংসা, রাসূলুল্লাহর (সা.) ওপর দরুদ পাঠ করেন। উপস্থিত হাজীদের সুস্থতা কামনা করেন। তাদের জন্য দোয়া করেন।
এরপর জোহর ও আসরের নামাজ একইসঙ্গে সংক্ষিপ্তভাবে আদায় করেন। এখন হজ্ব কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া ও কোরান তেলওয়াতের মাধ্যমে সূর্যাস্তের অপেক্ষা করছেন।
সূর্যাস্তের পর হাজিরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই আরাফাতের ময়দান থেকে রওনা দেবেন মুজদালিফার দিকে। সেখানে পৌঁছে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন। খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করবেন হাজিরা। তারপর মিনার জামারায় (প্রতীকী) শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন।
আগামীকাল রোববার (১১ আগস্ট) সকালে ফজরের নামাজ শেষে হাজিরা আবারো ফিরে আসবেন মিনায়। জামারাতে পাথর নিক্ষেপ ও পশু কোরবানির পর পুরুষরা মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম ত্যাগ করবেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজ্বের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন হাজিরা।
এদিকে, হাজিদের সুরক্ষা নিশ্চিতে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি সামরিক-বেসামরিক সদস্য এবং ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবী মোতায়েন করা হয়েছে।
হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে যারা আগে মদিনায় যাননি তারা মদিনায় যাবেন। সেখানে হাজিরা সাধারণত ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।
ইসলামের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের একটি হচ্ছে পবিত্র হজ্ব। ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালনের মধ্যদিয়ে হজ্ব পালন করতে হয়। বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, এবারের হজ্বে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। এদের বেশিরভাগই সৌদি আরবের বাইরের নাগরিক।
রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর ৯ জিলহজ্ব তারিখে মসজিদ আল হারাম-এ পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়। সে রীতি মেনে এরইমধ্যে গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে।