আলিফ মাহমুদ কায়সার, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
মদ বা নেশাজাতীয় দ্রব্য খেয়ে মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো চালকদের সনাক্ত করতে বিশেষ একটি ডিভাইস নিয়ে মহাসড়কে অভিযান শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ নামের ওই যন্ত্র দিয়ে ২১ অক্টোবর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার বিভিন্ন স্পটে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
জানা গেছে, চীন থেকে আমদানি করা এ যন্ত্রটি সারাদেশের হাইওয়ে পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে। যাতে দুর পাল্লার বাস-ট্রাক এবং ভারী যানবাহন চালানোর সময় চালকদের পরীক্ষা করা যায়।
সোমবার সকালে কুমিল্লা চান্দিনার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ যন্ত্র নিয়ে অভিযান চালায় হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়ন স্পেশাল টিম ও ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়েন স্পেশাল টিম সার্জেন্ট(এসআই) ইব্রাহিম বলেন, ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর দিয়ে মহাসড়কে অভিযানের খবর শুনে এরইমধ্যে অনেক চালক সচেতন হয়েছেন। প্রথম দিন অভিযানে কয়েকজন চালকের মুখে অ্যালকোহল বা মাদক পাওয়া গেলেও প্রাথমিকভাবে আমরা তাদের নেশাগ্রস্থ হয়ে যানবাহন না চালানোর জন্য সর্তক করে ছেড়ে দিয়েছি।’
পুলিশ জানায়, অনেক মাদকসেবী চালক মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ী চালানোর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এ অবস্থা রোধে এবং মাদকাসক্ত চালকদের চিহ্নিত করতে ‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ আমদানি করা হয়েছে।
‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর’ যন্ত্রটি দেখতে অনেকটা বড় মুঠোফোন সেটের মতো। সামনের দিকে চিকন পাইপের মতো বের হওয়া একটি অংশ আছে। মাদক পরীক্ষার অংশ হিসেবে এই যন্ত্রের সামনের পাইপ মুখে দিয়ে ফুঁ দিতে হয় চালকদের। এরপর চার সেকেন্ডের মধ্যেই যন্ত্রের মনিটরে ভেসে ওঠে ফলাফল। চালক মদ্যপ হলে শতাংশসহ ‘ইয়েস’ লেখা ওঠে। আর মদ্যপ না হলে ওঠে ‘নো’।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম জানান, ফলাফল ‘হ্যাঁ’ হলে সে ক্ষেত্রে ওই চালকের নাম, গাড়ির নম্বর, লাইসেন্স নম্বর ও পরীক্ষাকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম, ব্যাজ নম্বর ও দায়িত্বরত ইউনিটের নাম যন্ত্রটিতে লিখে দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই চালক ও পুলিশ কর্মকর্তার সব তথ্যসহ একটি প্রিন্ট কপি বের হবে। তখন এ কাগজ দিয়ে মোটরযান আইনের ১৪৪ ধারায় অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।