পথ কুকুরদের পাশে জয়া আহসান। ফোটো- ফেসবুক
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত। পাশাপাশি হোটেল-রেস্তোরাঁও গুলোও চলছে সীমিত আকারে। তাই খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ তৈরি হচ্ছে না। যার ফলে রাস্তার অনেক অসহায় পশুগুলো থাকছে অনাহারে।
গেল কয়েকদিন থেকেই মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে রাস্তায় নেমে পড়ছেন কোয়ারেন্টিনে থাকা দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। গত দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকায় নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন তিনি।
জয়ার ইংল্যান্ড প্রবাসী ভাই অদিত মাসুদ বেশ কিছু ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা যায়, ঢাকার রাস্তায় মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস পরে পরম মমতায় অসহায় কুকুরগুলোকে খাবার দিচ্ছেন জয়া।
অদিতের পোস্টে জানা গেছে গত পাঁচদিন ধরে জয়া কাজটি করছেন। প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি কুকুর প্রতিদিন জয়ার দেয়া খাবার খাচ্ছে। তাদের ভাত ও মুরগির মাংস মেখে দেয়া হচ্ছে। সাথে দেয়া হচ্ছে খাবার পানি। জয়াকে দেখে আরো অনেকে এগিয়ে আসবে এ প্রত্যাশা অদিতের।
তবে করোনার এই সময়ে বোনের এমন বেরিয়ে পড়ার বিষয়ে দুশ্চিন্তাও রয়েছে অদিতের মনে। বলছেন, ‘খানিক ঝুঁকি তো থাকছেই। ও নিশ্চয়ই সচেতনভাবেই কাজটি করছে। মানুষকেও বাঁচতে হবে, পশু-পাখিদেরও বাঁচাতে হবে। সবাই মিলেই তো পৃথিবীটা সুন্দর।’
কুকুরের সঙ্গেই সময় কাটাতেই দারুণ পছন্দ করেন জয়া আহসান। তারই প্রমান মেলে নিজের ইন্সটাগ্রামে। সময় পেলেই পোষা কুকুরের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠেন এই অভিনেত্রী। এই তো কয়েক সপ্তাহ আগেই ঢাকার খিলগাঁওয়ে অবস্থিত রবিনহুড দ্যা রেসকিউট অ্যানিমেল পরিবারের প্রায় ৫০টি কুকুর বিড়াল নিয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেন তিনি।
বাংলাদেশের এমন অনেক এনজিও যারা পশুপাখিদের নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে বেশ অনেক দিন ধরেই যুক্ত জয়া। কিন্তু তাঁর এই ভাবনা বা কাজকে তিনি কখনও প্রচারের আলোয় নিয়ে আসেননি।
প্রসঙ্গত,গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে সংক্রমণ বিস্তার করেছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত ৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ জন ও সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন।