মঈনুদ্দিন জামাল চিশতী, রাউজান (চট্টগ্রাম) ঃ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত পুরনো কালুরঘাট সেতু নির্মাণের জন্য এবার ফেসবুক লাইভে এসে দাবী জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সংসদ সদস্য এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান ফারাজ করিম চৌধুরী।
আজ ৬ জুলাই শনিবার সকাল ১১ টায় ঝুঁকিপূর্ণ কালুরঘাট সেতুতে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, “উত্তর, দক্ষিণ, মহানগর বিভক্তি করে লাভ নেই, চট্টগ্রামের উন্নয়নের প্রশ্নে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ।”
তিনি ফেসবুক লাইভে কালুরঘাট সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, “১৯৩০ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে কর্ণফুলী নদীর উপর প্রথম সেতু হিসেবে এই রেল সেতুটি নির্মিত হয়। প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে ট্রেন, যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক সহ ভারী যানবাহন চলাচল করে। এই সেতুর ভারসাম্য ৫ টন অনুমোদিত হলেও ১০ টন ওজনের গাড়ী চলাচল করছে। সবসময় গাড়ী আটকা পরে থাকে যে কারণে প্রতিনিয়ত সেতুর পিলারের উপর চাপ বাড়ছে। ২০০১ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই সেতুকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে। ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে প্রাণঘাতী ভয়াবহ দুর্ঘটনা। লাখো নারীপুরুষ, আবাল বৃদ্ধ-বণিতার সীমাহীন দুঃখ-কষ্ট ও ভোগান্তি জড়িয়ে রয়েছে এই সেতুকে ঘিরে। শাহ আমানত (রহঃ) কর্ণফুলী সেতু নির্মাণের পূর্বে বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বান্দরবান, কক্সবাজারের সাথে এই কালুরঘাট সেতুর মাধ্যমেই চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করতে হতো। বর্তমানে এই বৃহৎ অঞ্চলে বসবাস করা প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবী এই কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করা। আমাদের রাউজানে হয়তো অনেক রাস্তাঘাট আমরা এখনো করতে পারি নি, তবে এই সেতু নির্মাণের গুরুত্ব চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে আমি এড়িয়ে যেতে পারি না। আমরা জনগণ, আমাদের পদত্যাগ করার মতো কোন পদ নেই। আমরা সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি। এই সেতুটি বাস্তবায়ন করা আমাদের প্রাণের দাবী। আমি দেশের নাগরিক হিসেবে বিশেষ করে একজন জনপ্রতিনিধির ছেলে হিসেবে আমার গলার আওয়াজের জোর তুলনামূলকভাবে বেশি বলে তা আজ ব্যবহার করছি শুধুমাত্র চট্টগ্রামবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে। কালুরঘাট সেতু নির্মাণ হলে এই অঞ্চলের শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, চিকিৎসা, শিক্ষা সহ সবদিকে ব্যাপক উন্নতি ঘটবে।”
এই সেতু নির্মাণের কাজ যেন দ্রুত শুরু হয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন ভারী যানবাহন চলাচল করতে না দেয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান তিনি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এমেচার বক্সিং ফেডারেশন এর সভাপতি বাবু সুমন দে, রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, দক্ষিণ রাউজান ছাত্রলীগ এর সভাপতি সৈয়্যদ মেজবাহ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, রাউজান পৌরসভা ছাত্রলীগ এর সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসিফ, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুদ্দিন জামাল চিশতী, সাংবাদিক সাইফুদ্দিন খালেদ, শাহরিয়ার হাসান সাকিব, মিজানুর রহমান, তাজনবী ইমন, প্রিয়টন দে, আরফান গণি ফাহিম, জোনায়েদ উল্লাহ তুষার, আবদুল্লাহ আল সাকিব, ফরহানুল ইসলাম প্রমুখ।