আব্দুর রহিম,জেলা প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়ির গুইমারাতে অবৈধ ও অনঅনুমোদিতভাবে ইটভাটা স্থাপন ও বনজ কাঠ পোড়ানোর দায়ে দুটি ইট ভাটাকে ৩৫হাজার টাকা জরীমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় খাগড়াছড়ির গুইমারায় স্থাপিত অবৈধ তিনটি ইটভাটার আগ্রাশন নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশের পর ১৪মার্চ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলাপ্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট ইমরান হোসাইন সজীব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মাইদুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেণ।

অভিযানে স্থাপিত তিনটি ইট ভাটার মধ্যে দুটি ইট ভাটাকে ভ্রম্যমান আদালত পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা ও বৈধ অনুমোধন না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য মৌখিক নির্দেশ প্রদান করেন। ও ভাটায় ব্যবহৃত মের্সাস শহিদ ব্রিকস ও ফোর স্টার ব্রিকস এর ড্রাম চিমনী গুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে ।
এবং অবৈধ ভাবে বনের কাঠ পোড়ানোর ব্যাপারে তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

তবে অদৃশ্য কারণে ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে প্রভাবশালী বিএনপি নেতার মালিকানাধিন মেসার্স কামাল ব্রিকস।

ভাম্যমান আদালতের এমন অভিযানে হতাশা প্রকাশ করেণ স্থানীয় ভূক্ত ভোগিরা। অবৈধ ভাবে জড়ো করা কাঠের স্তুপ, পাহাড় ও কৃষি জমির উর্বর মাটি কাটার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতি ক্ষুব্ধ মনোভাব পোষণ করেন।

ক্ষতিগ্রস্থ্য স্থানীয়রা জানান,বিভিন্ন গণমাধ্যমের তৎপরতায় আমরা আশায় বুক বেঁধে ছিলাম হয়তো এবার আমরা অবৈধভাবে নির্মিত এ মানব ঘাতক থেকে মুক্তি পাবো। কিন্তু প্রশাসনের এমন লোক দেখানো অভিযানে আমরা হতাশ। আমাদের কপালের দুঃখ হয়তো আর ঘুচবেনা। ছেলে সন্তান নিয়ে আমাদের হয়তো এই ঘাতক ভাটার কালো ধুয়ায় শেষ হয়ে যেতে হবে।

এদিকে এ অভিযানকে নিয়ে স্থানীয় চায়ের দোকানেও বইছে সমালোচনার ঝড়।নাম প্রকাশে অনেকে বলছে ইট ভাটার মালিকদের সাথে প্রশাসনের যোগসাজোসের ফলে দায়সারা ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তারা।স্থানীয়দের ভাস্য ভাটাগুলো যেহেতু অনঅনুমোদিত ও অবৈধ সেগুলোকে স্থায়ীভাবে বন্ধ না করে, এবং ভাটা গুলোয় স্তুপ করা হাজার হাজার ফুট গাছ জব্ধ না করে প্রশাসন তাদেরকে ১০হাজার ও ২৫হাজার করে যে জরিমানা করেছে তা সত্যিই হাস্যকর।

সরেজমিনে দেখা যায় গ্রামের মানুষ শাষকষ্ট সহ অনেক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে র্নিমত রাস্তাঘাট গুলো ক্ষত-বিক্ষত।উর্বরতা হারিয়ে কৃষি জমিগুলো নষ্ট হলেও প্রশাসনের চোখে পড়েনা। স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা ফারুক সাহেব বলেন,স্থানীয় কোন ঈমাম বাড়ি করতে সামান্য মাটি ড্রেসিং করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাধা চলে আসে কিন্তু ইট ভাটাগুলো নির্বিচারে কৃষি জমি ও পাহাড় কাটঁছে।শুধু সময়ের অভাবে প্রমাসনের চোখে পড়েনা ।

অভিযানে দায়িত্বরত এক্সিকিউভি ম্যাজিট্রেট ইমরান হোসাইন সজীব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরির্দশক মাইদুল ইসলাম অবৈধভাবে পাশাপাশি অবস্থিত ফোরস্টার ও শহিদ ব্রিকসেরর মধ্যে শহীদ ব্রিক্সকে পঁচিশ হাজার টাকা জরিমান করে ভ্রাম্যমান আদালতের মুলতবি করেন। উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মীরা অভিযানের বিষয়ে ও পাশাপাশি ফোর স্টারকে রেখে চলে যাওয়ার কারন জানতে চাইলে তাঁরা এড়িয়ে চলে যান ।পরে বিষয়টি জেলাপ্রশাসক মো:শহিদুল ইসলামের নিকট মোবাইল ফোনে অবগত করা হলে দুপুর শেষে গিয়ে ফোর স্টারকে নামে মাত্র দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এবিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলাপ্রশাসক মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে। যাতে কেউ অবৈধভাবে এসকল কাজ করতে না পারে।

আরও পড়ুন

একটি জাল ভোট…
ফেনীর চার থানার…
২০২৩ হোক দেশের…
পদ্মা সেতুতে যান…
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন…
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে…
আজ দ্বিতীয় ধাপের…
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ…
অতি জরুরি’ ভিত্তিতে…

যুক্তরাষ্ট্রের উপহার হিসেবে ফাইজারের…

করোনা থেকে সুস্থ এক…

করোনা সংক্রমণে বিশ্বে ১৫তম…

বিশ্বে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের…

চীনে করোনার প্রথম ভ্যাকসিনের…