হাটহাজারী (চট্টগ্রাম),সকালের কন্ঠঃ
“স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল” এই কথাটি সত্যি হলেও আজকাল ভেজালের দুনিয়ায় স্বাস্থ্যের ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে,আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। আর এ রোগের সৃষ্টি ভেজাল খাদ্যের মাধ্যমে।তেমনি হাটহাজারীতে একটি ঘি কারখানায় ভেজাল ঘি তৈরি করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।ঘিয়ের নূন্যতম উপাদান নেই, অথচ নাম তার ‘খাঁটি গাওয়া ঘি’। পাম অয়েল, সুজি, ক্ষতিকারক রং ও ফেবিকল গাম একত্রে চুলায় জাল দিয়ে, তার সঙ্গে ফ্লেবার মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই ঘি।
একটি চক্র চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌর এলাকার এগার মাইল নাজির পাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে রকমারি ও বাহারি এমনকি নামি-দামি কোম্পানির মোড়ক লাগিয়ে অত্যাধুনিক মেশিনে টিনের কৌটাজাত করে হাটহাজারীসহ বিভিন্ন উপজেলায় বাজারজাত করছে এ ভেজাল ঘি।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে ও সোমবার রাতে ওই ভেজাল ঘি তৈরির দুটি কারখানায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে দুই হাজার ৭ শ’ লিটার ভেজাল ঘি ও সাড়ে ৬ হাজার কৌটা, ৭০ কেজি ডালডা, ৫০ কেজি ক্ষতিকারক কেমিক্যাল, রং ও ঘি তৈরির নানান ভেজাল সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ভেজাল ঘি তৈরিকারকরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, ভেজালবিরোধী অভিযান দুর্বার গতিতে চলবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগের চেয়ে অভিযান আরো বেশি জোরদার করা হবে। যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছেন তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন তারা সাবধান হয়ে সুপথে চলে আসেন।
জনাব রুহুল আমিন আরও বলেন,এই ভেজাল থেকে রক্ষা পেতে হলে জনগণের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।জনগণের সহযোগিতা ছাড়া এই অভিযান সফল করা সম্ভব নয়।তাই সকলের প্রতি আহবান যে যেখানে থাকেন না কেন এই সব ভেজাল কারখানার খবর কেউ জেনে থাকলে প্রশাসন কে অবগত করুন।প্রশাসন এর যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ।