আলিফ মাহমুদ কায়সার,কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত রং দেওয়া হচ্ছিল ম্যাংগো জুসে। এছাড়া ঘনচিনি, স্যাকারিন আর ফ্লেভার দিয়েও তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ভেজাল জুস ও সস। বুধবার কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভূষনা গ্রামে বিএসটিআই ও পরিবেশছাড়পত্র বিহীন নকল এশিয়ান নামের একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমা ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা’র সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম এর ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব দেখতে পান। পাইপ জুস ও সসে ভেজাল ক্যামিকেল কাপড়ের রং ব্যবহার করায় ভ্রাম্যমান আদালত অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের মালিক আবু বকর সিদ্দিকির ম্যানেজারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ কারখানাটিতে তালা ঝুলিয়ে দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যট রবীন্দ্র চাকমা।
তিনি কারখানার ম্যানেজার কে হুশিয়ারী করে বলেন-যতদিন পর্যন্ত কারখানার নামে বিএসটিআই ও পরিবেশছাড়পত্রাদি না করা হবে ততদিন উক্ত কারখানাটি বন্ধ থাকবে। নতুবা পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হইবে।
গতকাল বুধবার দেবিদ্বার ভূষনা এলাকায় ১১টা থেকে দুপুর ১২টায় পর্যন্ত দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা দেবিদ্বারসহ পুলিশ সদস্যদের যৌথ উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমা।
মোবাইলকোর্ট পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে পান- কারখানায় নোংরা পরিবেশে কাপড়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন রং, ফ্লেভার আর ঘনচিনি ও স্যাকারিনের দিয়ে মেশিন ছাড়াই ম্যাংগো জুস ও সস তৈরি করা হচ্ছে। নকল এশিয়ান কোম্পানিটির মান নিয়ন্ত্রণ ও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই।
আদালত অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান- ৬ মাস ধরে এভাবে এশিয়ান ফুড কোম্পানিটি জুস তৈরি করছেন এবং সারা দেশে তাদের এ ভেজাল ও নকল পন্য সরবরাহ করছেন। এ জন্য এশিয়ান ফুড কোম্পানির মালিক আবু বকর সিদ্দিক আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করে ক্ষমাও চান।
আদালত এসব অপরাধের কারণে অভিযুক্ত নকল এশিয়ান ফুড কোম্পানিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ কারখানাটি তালাবদ্ধ করে দেন। এ সময় বেশ স্যাকারিন যুক্ত বিপুল পরিমানে ভেজাল জুস,সস ও ম্যাংগো আচারসহ ৫ হতে ৭টি আইটেমের নকল ও ভেজাল পন্য জব্দ করে এলাকাবাসীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়।