শবে বরাত বা মধ্য-শা’বান (আরবি: نصف شعبان‎, প্রতিবর্ণী. নিসফে শাবান‎) বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরী শা’বান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ রাত।উপমহাদেশে এই রাতকে শবে বরাত বলা হয়।

ইসলামী বিশ্বাস মতে, এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অনেক মুসলমান নফল ইবাদাতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করেন। অনেক অঞ্চলে, এই রাতে তাঁদের মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। বারো শিয়া মুসলিমরা, এই তারিখে মুহাম্মদ আল-মাহাদির জন্মদিন উদযাপন করে। তবে সাালাফি ধারা, শবে বরাতের রাতে বিশেষ ইবাদত আয়োজনের বিরোধিতা করে। (উইকিপিডিয়া)

বাংলাদেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে দেশব্যাপী পালিত হবে সৌভাগ্য ও ক্ষমার রাত পবিত্র শবে বরাত।

মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, হিজরি সাবান মাসের ১৫ তারিখের শবে বরাতে আল্লাহ আগামী বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। এ রাতে তিনি তার সৃষ্টি জগতের সবার অতীতের কর্মকাণ্ড আমলে নিয়ে আগামী বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন।

যেহেতু এই রাতে আল্লাহর অগণিত মাখলুককে ক্ষমা করে থাকেন। হাদিস শরিফে আছে, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) তাকে বলেছেন, এ রাতে বণিক কাল্পনিক ভেড়ার পশমের সংখ্যার পরিমাণের চেয়েও বেশি সংখ্যক গুনাহগারকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেন (সুবহানাল্লাহ!)। এটি তিরমিজি শরিফের ৭৩৯ নম্বর হাদিস।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতে মানবজাতির জন্য স্রষ্টার অশেষ কল্যাণ কামনা করে বিশেষ নামাজ, কোরআন পাঠ, জিকির ও অন্যান্য ধর্মীয় ইবাদত পালন করেন। তারা পুরো রাতই ইবাদতের মাঝ দিয়ে অতিবাহিত করেন।

প্রতি বছর এ রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ হরেকরকমের উপাদেয় খাবার তৈরি করা হয়। এসব খাবার বিতরণ করা হয় গরিব-দুঃখীর, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী মধ্যে। অনেকে মসজিদে রাতভর ইবাদত করে ভোরে কবরস্থানে যান। চিরনিদ্রায় শায়িত আপনজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। নফল রোজা রাখেন। শবেবরাত উপলক্ষে পরদিন সরকারি ছুটি থাকে।

শবেবরাত উপলক্ষে প্রতি বছর ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমে আলোচনা, মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করে এলেও এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে নিজ নিজ বাসায় পবিত্র শবে বরাতের ইবাদত যথাযথ মর্যাদায় আদায় করার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি সংস্থাটি জানায়, করোনা ভাইরাসের এ সংকটকালীন পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনা এবং প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা মেনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ আহ্বান জানাচ্ছে। 

এদিকে পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণী দিয়েছেন। এতে তিনি শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

(বিজ্ঞাপন)
(বিজ্ঞাপন)

আরও পড়ুন

একটি জাল ভোট…
২০২৩ হোক দেশের…
পদ্মা সেতুতে যান…
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন…
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে…
আজ দ্বিতীয় ধাপের…
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ…
অতি জরুরি’ ভিত্তিতে…
প্রায় ১৮ মাস…

যুক্তরাষ্ট্রের উপহার হিসেবে ফাইজারের…

করোনা থেকে সুস্থ এক…

করোনা সংক্রমণে বিশ্বে ১৫তম…

বিশ্বে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের…

চীনে করোনার প্রথম ভ্যাকসিনের…