শৌখিন মানুষরা তাদের ঘরবাড়িতে সবুজকে ধরে রাখার জন্য একান্ত নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় আপন আপন বাড়ির ছাদে তৈরি করছে ছাদের বাগান। পাশাপাশি নাগরিক ব্যস্ততার যান্ত্রিক পীড়ন থেকে একটু প্রশান্তি পেতে কিংবা এক টুকরো সবুজ ছোঁয়ার আশায় বাড়ির ছাদ অথবা বারান্দায় এখন অনেকেই করছেন শখের বাগান। আমাদের শহরগুলোতে মাটির অস্তিত্ব দিন দিন কমে আসছে। ইট-কাঠের ভবনের বদলে দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছে ইস্পাতের কাঠামো ও কাচে মোড়ানো বহুতল ভবন। যান্ত্রিক জীবনে ছাদ বাগানের ছোট সবুজ উদ্যান আমাদের সতেজ রাখতে সহায়তা করে। ছাদ না পেলে বারান্দাতেই গড়ে তুলুন আপন উদ্যান।
জার্মানিসহ গোটা ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ যেখানে জনসংখ্যার নেগেটিভ আয়তন অনেক বড়, সেখানে শুধু ছাদেই নয়, জানালার কোনা থেকে শুরু করে বাড়ির দেয়াল কোথাও বাকি নেই, যেখানে তারা গাছ লাগায় না। স্কুলের বাচ্চা থেকে শুরু করে বুড়োবুড়ি সবাই প্রকৃতিপ্রেমী। সেখানে ৮০-৯০ বছরের বয়স্ক পুরুষ-নারীও সারাদিন বাগানে কাজ করে গাছের পরিচর্যা করেন। ছাদ বাগান আমাদের প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ হওয়ার একটি সুযোগ করে দিচ্ছে।
এলোমেলো ও অপরিকল্পিত ছাদ বাগান কেবল সময়, অর্থ অপচয় করায় না। সেই সঙ্গে ভবনেরও নানা ক্ষতি করে। ছাদের সুবিধামতো স্থানে স্থায়ী বেড (ছাদ ও বেডের মাঝে ফাঁকা রাখতে হবে) স্থাপন করা যেতে পারে। এসব বেডে মূলত সবজি, শাক চাষ করার পাশাপাশি চাইলে লাগানো যায় ফুলগাছ। চাহিদা অনুসারে হাফ ড্রাম, সিমেন্ট বা মাটির টব, স্টিল প্লাস্টিক ট্রে সংগ্রহ করতে হবে। আরো পরামর্শের জন্য নার্সারিতে যেতে পারেন।
দেশজুড়ে ছাদ বাগান ছড়িয়ে পরুক। সজীবতার পরশ নিক সবাই। সবুজে বরে উটুক নাগরিক জীবন ।