শীতকালে ছুটির মৌসুমে ঘরের ওম ছেড়ে দেশের পর্যটন আকর্ষণ গুলোকে পরিবার-বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুঁয়ে দেখতে মন চায়। ডিসেম্বর-জানুয়ারি ঘুরতে যাওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর কী হতে পারে। তবে যেখানেই ঘুরতে বের হোন না কেন, থাকা চাই পুরোপুরি প্রস্তুতি। তা না হলে আনন্দ ভ্রমণ পরিণতি হতে পারে নিরানন্দে। চলুন জেনে নেয়া যাক প্রস্তুতির বিস্তারিত।
যথাযথ পোশাক
যাওয়ার আগে জায়গাটির তাপমাত্রা সম্পর্কে জেনে নিন। সমুদ্র বা কম ঠান্ডার জায়গায় গেলে মোটামোটি মানের শীতের পোশাকেই কাজ চলে যাবে। ব্যাকপ্যাকের ওজন না বাড়িয়ে সর্বাবস্থায় উপযুক্ত একটি গরমের কাপড় নেবার চেষ্টা করুন। পাহাড়,বন-জঙ্গলে যেতে পুরো শরীর ঢেকে থাকে এমন পোশাক পরুন; পোকামাকড়ের কামড়, কাঁটালতা থেকে রক্ষা পাবেন। পানিতে নামবেন এমন কোথাও ভ্রমণে গেলে এমন পোশাক পরুন যা পানিতে ভিজলে খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে। তবে ঘন জঙ্গল অথবা গভীর পুকুরে না যাওয়াই ভাল।
টুকিটাকি তবে জরুরি
সাবান, শ্যাম্পু, ব্রাশ, পেস্ট, রেজর-ফোম, আয়না, চিরুনি, লোশন ইত্যাদি টুকিটাকি; তবে জরুরি। শীতে সবসময় সঙ্গে ছোট একটা পেট্রোলিয়াম জেলি নিতে ভুলবেন না। শীতকাল ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশিসহ নানা অসুখ হতে পারে, তাই ওষুধ নিতে পারেন। ব্যাগপ্যাকের সময় এগুলো মনে করে নিয়ে নিন। এছাড়াও মোবাইল ফোনের চার্জার , ক্যামেরা বা ল্যাপটপের চার্জার , মোবাইলের পোর্ট ইত্যাদি সাথে নিয়ে নিতে ভুলবেন না। টর্চ লাইট, ছাতা, রাবারের জুতা, টাওয়েল, নেক পিলো, এক্সট্রা ব্যাগ ইত্যাদি নিয়ে নিবেন সাথে।
খোঁজখবর
বেড়াতে যাওয়ার আগে গন্তব্যস্থল সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নেয়া জরুরি। শীতকালে ভ্রমণে ক্ষেত্রে তো কথাই নেই, কারণ একেক জায়গায় শীতের প্রকোপ একেক রকম। তাই ঘুরতে বের হবার আগে অবশ্যই ভালোভাবে সেখানকার আবহাওয়ার খোঁজখবর নিয়ে বের হতে হবে। এই সামান্য খোঁজখবর নেয়া প্যাকিং বা অন্যান্য প্রস্তুতির ছোটখাটো ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে দিবে।
বুকিং
সম্ভব হলে যাওয়ার আগেই হোটেল বুকিং দিন। কারণ শীতের মৌসুমে অনেক সময় হোটেল সংকটে পড়তে হয়। এ জন্য বিভিন্ন হোটেলের ওয়েবসাইটে অথবা ট্রাভেল এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন। আর যদি বাসা খালি না রেখে বাসার দায়ীত্বে কাউকে রেখে যাওয়া যায় নিশ্চিতে থাকতে পারবেন।
সুস্থ থাকুক শিশু
ঘুম ভালো না হলে শিশুরা জার্নিতে অসুস্থ বোধ করতে পারে। ভ্রমণের দু-চার দিন আগে থেকে শিশুরা ভ্রমণে যাওয়ার প্রস্তুতি। যাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারে সে সুুযোগ করে দিন। ভ্রমণে শিশুর খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সারাক্ষণ শিশুকে সঙ্গে নিয়ে না ঘুরে বেড়িয়ে শিশু যাতে একটু আরাম করতে পারে সে দিকেও নজর দিন। বিমানে তরল পদার্থ বহনে বিধিনিষেধ থাকে, ঝামেলা এড়াতে শিশুর জন্য ২০০ মিলির চেয়ে কম পরিমাণের দুধ পৃথক পৃথক বোতলে বহন করতে পারেন। সমস্যা হলে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।
ছাত্র/অবিবাহিতরা যদি দূরে ভ্রমনে যান তবে একা না ঘুরে দলবলে ঘোরা ভাল।